তনু ভয় পেয়ে আর অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। তবে এখন ছেলেটার চোখ একদম নরমাল মানুষদের মতো। মানে কালো। তাহলে সেদিন কেন লাল হয়ে ছিল? ছেলেটা তনুকে আরও বেশি অবাক করে একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলে,
অন্ধকার !! Part- 02 |
— কেমন আছো তনু?
~ আপনি কে? আমার নাম জানেন কিভাবে? (ভীতু কণ্ঠে)
— আমি নেহাল। নেহাল আহমেদ আর কি।
কথা শেষ করে নেহাল তনুকে দাঁড় করিয়ে দেয়। তনু নিজেকে সামলে বলে,
~ আপনি এখানে কেন? আপনি তো পাহাড়ের…
নেহাল ঠোঁটে আঙুল রেখে তনুকে থামিয়ে দেয়। আর বলে,
— এখন থেকে আমি তোমার সাথেই থাকবো। মানে তোমার সাথে ক্লাস করবো।
~ এটা কিভাবে সম্ভব! আপনি তো আমার বড়ো। আর আপনাকে কেনই বা এখন মাঝ সেমিস্টারে আমাদের ক্লাসে ঢুকিয়ে দিবে? এটা অসম্ভব!
— দেখা যাক। এখন আসি। আবার দেখা হবে। বাই বাই তনুউউ…
নেহাল তনুকে স্তব্ধ করে দিয়ে চলে যায়। তনুর বন্ধুরা ওর কাছে এসে বলে,
~ ওয়াও দোস্ত! এই হ্যান্ডসাম ছেলেটা কে ছিল? তোকে চিনে মনে হচ্ছিলো। (নীলা)
— এই তোর সাথে আবার কোন খারাপ বিহেভ করেছে নাকি? বল আমাকে? (রনি)
~ না না৷ সে নাকি আমাদের ক্লাসে আমাদের সাথে পড়বে।
— বলিস কি? এটা কি সম্ভব নাকি? ডিন কখনো রাজি হবে না। (শান্ত)
~ আমিও তাই বলছি। চল ক্লাসে যাই। দেরি হচ্ছে।
— ওকে। (সবাই)
তনু বেশ চিন্তায় পড়ে গিয়েছে। এই রহস্যময় ছেলে এখানে আসলো কিভাবে? সে কিভাবে ওকে চিনে? আর কিভাবে ওর সাথে পড়বে? কেনই বা পড়বে? সে তো বড়ো। তনুর মাথাটা গরম হয়ে যাচ্ছে। ওরা সবাই ক্লাসে ঢুকে যে যার সিটে বসে পড়ে। একটু পরই বেল বেজে উঠে। স্যার ক্লাসে এসে সবার সাথে হাই হ্যালো করে বলে উঠেন,
— স্টুডেন্ট, আজ তোমাদের ক্লাসে নতুন একজন ছাত্র যোগ হবে। সবাই তাকে হেল্প করবে আশা করি। নেহাল প্লিজ কাম।
নতুন ছাত্র যোগ হওয়ার কথা শুনে সবাই অবাক। সবাই হাইপার হয়ে যায়। যে এটা কিভাবে সম্ভব? মাজ সেমিস্টারে কিভাবে কেউ ভর্তি হয়! তনুও নেহালের নাম শুনে অনেক বড়ো একটা ধাক্কা খায়। তাহলে কি সে সত্যি সত্যিই ওর সাথে পড়বে? ও আশেপাশে মানুষের কথা শুনে আরও অস্থির হয়ে যাচ্ছে৷ কিন্তু সবকিছুকে একদম স্তব্ধ করে দিয়ে শুধুমাত্র তনুকে ভীষণ ভাবে অবাক করে দিয়ে নেহাল একটা মুচকি হাসি দিয়ে ক্লাসে এন্ট্রি মারে। আর সাথে সাথে সবাই চুপ। তনু খেয়াল করে নেহাল চোখ দুটো এখন একদম লাল। ও দ্রুত আশেপাশে তাকিয়ে দেখে সবাই কেমন জানি চুপ হয়ে একদৃষ্টিতে নেহালের দিকে তাকিয়ে আছে। একমাত্র তনুই স্বাভাবিক আছে। ও খুব ভয় পেয়ে যায়৷ ও নেহালের দিকে তাকিয়ে দেখে নেহাল ওর দিকে তাকিয়ে আছে। তবে ঠোঁটের কোণায় রহস্যময় একটা হাসি। স্যার ওকে সবার সাথে পরিচয় হতে বলে। নেহাল বলে উঠে,
— আমি নেহাল আহমেদ। আজ থেকে তোমাদের সাথেই আমি সবসময় থাকবো। ধন্যবাদ।
সাথে সাথে ক্লাসের সবাই একদম নরমাল হয়ে যায়৷ নেহালকে ওদের নতুন বন্ধু হিসেবে তারা মেনে নেয়৷ এখন এমন একটা অবস্থা যেন ওরা ভুলেই গিয়েছে ভার্সিটির নিয়ম কানুনের কথা। তনু পুরো স্তব্ধ হয়ে আছে। ওর বন্ধুরা পর্যন্ত নেহালের সাথে হেসে হেসে কথা বলছে। এদিকে নেহাল আস্তে আস্তে হেঁটে তনুর কাছে আসে। তনুর সাথে একটা মেয়ে বসা ছিল। তনু খেয়াল করে নেহাল আবার ওর চোখটা লাল করে মেয়েটাকে বলে,
— তুমি পিছনের সিটে গিয়ে বসো। আমি ওর সাথে বসবো।
মেয়েটা একটা শব্দ না করে চুপচাপ উঠে চলে যায়। নেহাল আবার ওর চোখ দুটো স্বাভাবিক করে তনুর পাশে বসে। আর ওর দিকে তাকায়৷ তনুর আর বুঝতে বাকি নেই যে নেহাল কোন স্বাভাবিক মানুষ না৷ ও ভয়ে থরথর করে কাঁপছিল। ওর মন চাচ্ছিলো ও এখান থেকে পালিয়ে যাক। নেহাল ওর করুণ অবস্থা দেখে আস্তে আস্তে ওর একদম কাছে এসে ওর কানে কানে বলে,
— তোমার জন্যই এখানে এসেছি। ভয় নেই৷ আমি তোমার মতোই একজন। তবে একটু আলাদা।
তনু হঠাৎ করে নেহালের কথা শুনে আঁতকে ওঠে। ও চমকে গিয়ে একটু দূরে সরে বসে। নেহাল ভ্রুকুচকে তনুর দিকে তাকায় আর বলে,
— আমার কাছ থেকে দূরে সরে গেলে কিন্তু অনেক খারাপ হবে৷ খারাপটা তোমার না পুরো ক্লাসের হবে। আমি কি তা তো বুঝতেই পারছো। সো আমার কাছে কাছে থাকবে তুমি।
~ আ…আপ…আপনি কেন এখানে এসেছেন? কি চা…চান আপনিইইই?
— যদি বলি তোমাকে। আসলে ঠিক তোমাকে না, তোমার মিষ্টি পাওয়ারফুল ব্লাডকে। হাহা।
~ কিহহ!
তনু অসম্ভব ভয় পেয়ে যায় নেহালের কথা শুনে। আর এদিকে নেহাল শুধু হেসেই যাচ্ছে। তনু মানতেই পারছে না এসব৷ ওর খুব খারাপ লাগছে। সবকিছু কেমন অস্পষ্ট লাগছে। কেন নেহাল এখানে? আর নেহাল আসলে কে? কোন ভূত? ভূত হলে মানুষের মাঝে কি করছে? ভূত তো এত মানুষের মাঝে থাকতে পারে না। তাহলে ও কে? তনু আর এসব ভাবতে পারে না৷ ও নিজেকে কোন মতে স্থির করে ক্লাসে মনোযোগ দেয়। কিন্তু নেহাল পুরোটা সময় জুড়ে শুধু ওর দিকে তাকিয়ে থাকে। তনুর যে কিরকম অস্তিত্ব লাগছিল তা বলার বাইরে। দেখতে দেখতে টিফিন ব্রেক চলে আসে৷ ও যেন এটার অপেক্ষায়ই ছিল। ও দ্রুত উঠে ক্লাসের বাইরে আসে। ওকে একটু খোলা জায়গায় যেত হবে৷ সব কিছু কেমন মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। তনু হেঁটে হেঁটে ক্যানটিনের দিকে যাচ্ছিল। হঠাৎই করে নেহাল কোথা থেকে এসে ওর হাত ধরে অন্যপাশে নিয়ে একটা খালি ক্লাসের মধ্যে ঢুকে পড়ে। ঢুকে ভিতর দিয়ে দরজা লাগিয়ে দেয়। তনু ভয়ে চিৎকার দিতে নেয়। কিন্তু তার আগেই নেহাল ওর মুখ চেপে ধরে দেয়ালের সাথে মিশিয়ে ফেলে। তনুর ভীতু চোখগুলো নেহালের লোভাতুর চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। তনু ভাবছে নেহালের চোখে কিসের লোভ? ওকে ভোগ করার? শেষমেশ এভাবে ও ওর সব হারাবে? তনুর চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে। ও নিজেকে ছাড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছে। কিন্তু নেহালের পুরো শরীরটা যেন লোহার মতো শক্ত। তনু অঝোরে কাঁদছে। নেহাল ওর কান্না দেখে বলে উঠে,
— আরে এভাবে কাঁদছো কেন? আমি তোমার কোন ক্ষতি করবো না। শুধু তোমার স্বাদ নিব৷ মানে তোমার রক্তের।
বলেই তনুকে পুরো স্তব্ধ করে দিয়ে নেহাল সত্যি সত্যিই ওর ঘাড়ে কামড় দেয়। সাথে সাথে তনু সেই রাতের ঠান্ডা ফিলটা আবার অনুভব হয়। ও বাকরুদ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে। নেহাল সত্যি সত্যিই ওর রক্ত খাচ্ছে। কিন্তু ও কোন ব্যথা পাচ্ছে না৷ শুধু ঠান্ডা একটা অনুভূতি। কিছুক্ষণ পর নেহাল ওকে ছেড়ে দেয়৷ তনুর কান্না অনেক আগেই থেমে গিয়েছে। নেহাল যখন ওর সামনে আসে তনু দেখে নেহালের সামনের দুটো দাঁত অনেক বড়ো হয়ে বের হয়ে আছে। সেগুলোতে তাজা রক্ত লেগে আছে। কিন্তু মুহূর্তেই দাঁত দুটো আবার নরমাল দাঁতের মতো হয়ে যায়। নেহাল সেই রহস্যময় হাসি দিয়ে তনুর ঘাড়ের ওখানে হাত বুলিয়ে দেয়। আর সাথে সাথে দাগটাও নাই হয়ে যায়। এবার তনুর চোখের দিকে তাকিয়ে নেহাল ওর চোখ দুটো মুছে দিতে দিতে বলে,
— এবার বুঝতে পেরেছো আমি কে?
তনু অসহায় ভাবে মাথা নাড়িয়ে না বলে। নেহাল কিছুক্ষণ ওর দিকে তাকিয়ে আস্তে আস্তে ওর কানের কাছে এসে বলে,
— আমি ভ্যাম্পায়ার। রক্ত খেয়ে বেঁচে থাকি আমি। আমার ২০০ বছরের জীবনে প্রথম এমন একজনের রক্ত খেলাম যার রক্ত আমাকে অনেক শক্তিশালী করে দেয়। এমন শক্তিশালী করে দেয়, যে আমি চোখের পলকে একটা গোটা পাহাড়কে নিমিষেই শেষ করে দিতে পারবো। আর সেই মানুষটা তুমি তনু৷ আই নিড ইউ।
নেহালের কথা শুনে তনুর চোখ দুটো বড়ো বড়ো হয়ে যায়। অনেক বড়ো একটা সক খেয়েছে ও। নিজের কানকে ও বিশ্বাস করতে পারছে না৷ ভ্যাম্পায়ারের কত গল্প, কাহানী আর মুভি ও দেখেছে। ভেবেছে এসব কাল্পনিক। কিন্তু আজ এই মুহূর্তে ওর সামনে জলজ্যান্ত একটা ভ্যাম্পায়ার দাঁড়িয়ে আছে। শুধু তাই না, সে ওর রক্তও খাচ্ছে। তনু সাথে সাথে অজ্ঞান হয়ে যায়। ওর পক্ষে এসব নেওয়া আর সম্ভব না৷ কিছুক্ষণ পর তনু আস্তে আস্তে চোখ মেলে তাকায়। দেখে ও নেহালের কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছে। নেহাল ওর দিকে মুচকি একটা হাসি দিয়ে তাকিয়ে আছে। তনু মাথায় হাত দিয়ে আস্তে আস্তে উঠে বসে। আশেপাশে তাকিয়ে দেখে সেই ক্লাস রুমেই আছে ওরা। তনু নেহালের দিকে তাকিয়ে বলে,
~ আচ্ছা আমি কি কোন স্বপ্ন দেখছি? যদি স্বপ্ন নাই দেখে থাকি তাহলে এসব কি হচ্ছে বলবেন প্লিজ?
নেহাল তনুর গাল দুটো ধরে বলে,
— এই পৃথিবীতে যে কতশত রহস্য আর অজানা জিনিস লুকিয়ে আছে তা তোমরা কিছুই জানো না। তোমার ভয় পাওয়াটা স্বাভাবিক। তবে বিশ্বাস রাখো আমি তোমার কোন ক্ষতি করবো না। আর হতেও দিব না। শুধু তোমার রক্ত খাবো। হাহা।
তনু অসহায়ের মতো নেহালের দিকে তাকিয়ে আছে। নেহাল কতটা স্বাভাবিক ভাবে বলছে ওর রক্ত খাবে। এদিকে তনু যে যায় যায় অবস্থা তার কোন খেয়ালই নেই। তনু উঠে দাঁড়িয়ে বলে,
~ দেখুন দুনিয়াটা এখনো ঠিক মতো দেখতে পারি নি। আমার অনেক গুলো ইচ্ছা আছে। আপনি যদি আমার রক্ত খেয়ে আমাকে মেরে ফেলেন তাহলে অনেক গুলো ক্ষোভ নিয়ে দুনিয়া থেকে চলে যেতে হবে৷ আমার ইচ্ছা গুলো পূরণ হলে আমাকে খেয়ে ফেলেন আপনি। আমি কিছু বলবো না। তবে এখনকার মতো আমাকে ছেড়ে দিন প্লিজ।
তনুর কথা শুনে নেহাল হাসতে হাসতে উঠে দাঁড়ায়। উঠে ওর কপালে একটা টোকা দিয়ে বলে,
— ক্লাসে যাও। সবাই তোমাকে খুঁজছে।
বলেই মুহূর্তেই মধ্যে নেহাল একদম গায়েব হয়ে যায়। তনু পুরো অবাক হয়ে যায়। জলজ্যান্ত মানুষটা গায়েব! ওহ! সরি নেহাল তো মানুষ না ভ্যাম্পায়ার। তনু ভয়ে ক্লাস রুম থেকে বের হয়ে ওর ক্লাসে চলে যায়। নেহাল তনুর ভার্সিটির বিল্ডিংয়ের ছাদে বসে আছে। বসে বসে তনুর কথা ভাবছে আর হাসছে। হঠাৎই নেহাল বলে উঠে,
— আমাকে ফাঁকি দেওয়া এত সহজ না। সামনে আয়।
মুহূর্তেই অদৃশ্য থেকে দৃশ্যমান হয় আরও একটা ছেলে। নেহালের পাশে বসে সে বলে,
— তোর পাওয়ারের কাছে সত্যিই আমরা কিচ্ছু না।
— তুই এখানে কেন সেটা বল?
— তোকে সতর্ক করতে এসেছি। কারণ তুই যা করতে যাচ্ছিস তা ঠিক হবে না। তোর ক্ষতি হতে পারে।
— শোন ও শুধু আমার। কারণ ওকে আমার প্রয়োজন। সো ওর ক্ষতি করতে যে আসবে তাকে সবার আগে আমাকে পাড় করতে হবে৷ তাতে আমার ক্ষতি হলে হোক।
— ভুল করছিস নেহাল। তুই ভেবে দেখ। তার পাওয়ারের সামনে তোর পাওয়ার কিছু না।
নেহাল উঠে দাঁড়ায় আর বলে,
— আমার পাওয়ার সম্পর্কে তোদের ধারণা নেই। আসি।
কয়েক মিলি সেকেন্ডের মধ্যেই নেহাল গায়েব। ও চলে গেলে ওর সাথী বলে,
— তোর কিছু না হলেও মেয়েটাকে কে বাঁচাবে?
রাত ১১ঃ৪৫ মিনিট,
নেহাল গায়েব হয়ে যাওয়ার পর তনু আর ওকে এখন পর্যন্ত দেখে নি। ও এখন চুপচাপ ওর রুমে বসে আছে। শুধু নেহালের কথাই বারবার মনে পড়ছে। নেহাল কি সত্যিই চলে গেল? তনুর রুমটা অনেক বড়ো ছিল। তাই অনেক বড়ো বড়ো জানালাও আছে। বারান্দার পাশে যে জানালাটা ছিল হঠাৎ করে তনু খেয়াল করে কে যেন সেখানে বসে আছে। ওহ! তনুর রুমের বাতিটা কিন্তু অফ ছিল। তাই অন্ধকারে ও ঠিক দেখতে পাচ্ছিল না৷ ও ভয়ে আস্তে আস্তে করে উঠে সুইচের দিকে যেতে থাকে আর বলতে বলতে থাকে,
~ আপনি কি নেহাল? আপনি এত রাতে এখানে কেন?
তনু বাতি জ্বালাতেই দেখে এটা নেহাল না অন্যকেউ। নেহালের মতো সেই বড়ো বড়ো দুটো দাঁত বের হয়ে আছে। দেখতে একদম মানুষ রূপী হিংস্র পশুর মতো লাগছে। যেন এখনিই ওকে খেয়ে ফেলবে। তনু কি করবে বুঝতে পারছে না। ও ভয়ে থরথর করে কাপছে৷ আজ বোধহয় আর বাঁচা হবে না। ও জোরে একটা চিৎকার করতে নেয়। কিন্তু তার আগেই সেই জন্তুটা চোখের পলকে ওর কাছে এসে ওর মুখ চেপে ধরে। শুধু তাই না ওর গলাও চেপে ধরে। তনুর মনে হচ্ছে ও আর বেশিক্ষণ বাঁচবে না৷ ও মনে মনে বলছে, নেহাল যদি সেদিনের মতো আজও ওকে বাঁচাতো। কিন্তু সে হয়তো আর আসবে না৷ ও তো তাকে আসতে না করে দিয়েছে। তনুর চোখগুলো আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে আসছে। ও আর শ্বাস নিতে পারছে না৷ তাহলে এটাই কি শেষ তনুর?
চলবে…?
লেখাঃ আবির খান
ওয়েবসাইট :- westbangla.com