- স্মার্ট হতে চান তাহলে, প্রথমে নিজের কৌশল পরিবর্তন করুন। বর্তমানে আপনি যে কৌশলে চলাফেরা করতেছেন সেটা পরিবর্তন করুন।
- নিজেকে জানতে চেষ্টা করুন। কেন আপনাকে স্মার্ট হতে হবে, কেনই বা আপনি স্মার্ট হবেন। স্মার্ট হতে গেলে আপনার নিজের ভিতরে কি কি পরিবর্তন আনার প্রয়োজন মনে করেন সেটা,একটা খাতায় নোট করে রাখুন। নোটে লেখাগুলো কে ভালোভাবে এনালাইস করুন, এগুলো কে পরিবর্তন বা কি করে হাই-কোয়ালিটি ভাবে নিজের ভিতরে স্থাপন করতে পারেন বা ডেভলপ করতে পারেন। তার জন্য নিয়মিত কাজ করুন।
How to make yourself smarter? |
- কোন কিছু পরিবর্তনকে সহজে মেনে নিন, নিজের সাথে। হয়তো আপনি আগে ঘুম থেকে উঠতেন সকাল ৮ টাই, রাতে ঘুমাতেন রাত ১ টা বাজে। এখন চাচ্ছেন সকাল ৬ টাই ঘুম থেকে উঠবেন এবং রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাবেন। এসব পরিবর্তন কে মানিয়ে নিতে নিজেকে তৈরি রাখুন। হুট করে কোন জিনিসের পরিবর্তনের চেষ্টা করবেন না, এটা আপদের চাইতে বিপদ বেশি হতে পারে।
- পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়া। আমরা বেশিরভাগ সময় পড়াশোনা করি, বইতো শেষ হয়ে গেলো বই শেষ হতে হতে আমরা কি কি পড়েছি সেগুলো আমাদের তেমন মনে থাকে না। সবই মাথার উপর দিয়ে চলে যায়, কি পড়লাম না পড়লাম মনে থাকে না। কোন বই পড়ার সময় যদি আমরা মনোযোগী হতে পারি তাহলে আমরা খুব সহজে যে কোন জিনিস আয়ত্ত করতে পারবো। বই হলো এমন একটা জিনিস আপনি স্মার্ট হবেন নাকি আন-স্মার্ট হবেন তার ফলস্বরূপ।
- জ্ঞান যেন বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে। বই থেকে আপনি সামরিক জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। এই জ্ঞান আপনি সঠিকভাবে ব্যবহার করায় হলো আপনার জ্ঞানের পরিচয়।
- প্রাকৃতি থেকে শিখতে চেষ্টা করুন। প্রাকৃতি আপনাকে যা শিখাবো সেটা কোন বই -পুস্তক আপনাকে শিখাতে পারবে না।প্রাকৃতি থেকে আহার এবং জ্ঞান দুটোই প্রয়োজন।
- কৌতুহলী হন কোন কিছু শেখার জন্য। বাড়িতে যদি আপনার মা/স্ত্রী আপনার প্রিয় খাবার রান্না করলে আপনি যেমন কৌতূহলী হন সেই ভাবে কোন কিছু শেখার জন্য আপনি তেমনি ভাবে কৌতূহল প্রকাশ করুন, দেখবেন সে জিনিস টি আপনি খুব সহজে আয়ত্ত করতে পারবেন।
- স্মার্ট হওয়ার জন্য পড়াশোনার কোন বিকল্প নেই। পড়াশোনা হলো সবচেয়ে বড় ধনসম্পদ। এই সম্পদ টাকা দিয়ে ক্রয় করা যায় না। সম্পদ অর্জন করতে হয়।
- নোটঃ এখানে পড়াশোনা বলতে একাডেমিক পড়াশোনার কথা বলা হয়নি। একাডেমিক পড়াশোনার বাইরেও সবচেয়ে বড় পড়াশোনা হলো নিজের মধ্যে দিয়ে তৈরি করা বিভিন্ন লেখকের বই।
- সকালে ঘুম থেকে উঠবেন। ঘুম থেকে উঠে ১০-১৫ মিনিট হাঁটা-হাটি করুন। নিয়মিত পানি পান করুন। গাড়িতে তেল না দিলে যেমন গাড়ি চলে না ঠিক তেমন মানব ইঞ্জিনে পানি না দিলে এটা তেমনই অচল। নিয়মিত পানি পান করুন। খাবার খান নিয়মিত আহার করুন পরিমাণ মতো।
- সকালে ৩০ মিনিট মতো বই পড়বেন। এটি আপনাকে পজিটিভ রাখবে। রাতে ঘুমানোর আগে ৩০ মিনিট বই পড়বেন। অবশ্যই প্রতিদিনের নোট লেখবেন একটা ডাইরিতে, এটি আপনাকে সারাদিনের ক্লান্তি বা সারাদিন এর ভুলগুলো পুনরায় মনে করে দিবে। যে ভুল গুলো করেছেন সেগুলো পরের দিন না হয় মতো খেয়াল করুন।
- কল্পনা হলো স্মার্ট বা সফলতা চাবি।বেশি বেশি কল্পনা করুন, এই কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিতে চেষ্টা করুন।
- ডিস্কাশন করুন নিজের সাথে। আয়নার সামনে দাড়িয়ে বলতে থাকুন আজকে কি করলাম, আজকে আমার প্রাপ্তি কি। আজকে কি অর্জন করলাম, আজকে কি বিসর্জন করলাম। এগুলো নিয়ে ডিস্কাশন করুন নিজের সাথে।
- কোন কিছু শিখতে লজ্জা বা ভয় পাবেন না।আপনি যতই শিখবেন ততই স্মার্ট হতে পারবেন।
- ব্যায়াম করতে ভুলবেন না। প্রতিদিন মিনিমাম ১০-১৫ মিনিট ব্যায়াম করুন। এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ নিজের শান্ত এবং পজিটিভ চিন্তা করার জন্য।
- নিজেকে শান্ত রাখুন। এটিই একটা স্কিল।যেকোনো পরিস্থিতি নিজেকে ঠান্ডা মাথায় মোকাবিলা করাই হলো আপনার স্কিল সবার সামনে আসবে।দেখুন নিজেকে ঠান্ডা রাখা হলো সবচেয়ে বড় Challenge এটি করতে পারলে সবসময় আপনি যে কোন পরিকল্পনায় আপনি জয় লাভ করতে পারবেন।
- স্মার্ট হওয়া ভালো। অভার স্মার্ট হওয়ার ভালে না। স্মার্ট হতে গিয়ে অনেকে অভার স্মার্ট পরিণত হয়ে যায়। সবচেয়ে বড় স্মার্ট হলো মানুষ কে সম্মান করা।
আরো পড়ুন:-
- কিছু লাইফ হেক
- সকালে ঘুম থেকে উঠে কী খাওয়া উচিত?
- পৃথিবীর বিখ্যাত 5 টি ব্রান্ডের লোগোতে লুকানো সব অদ্ভুত রহস্য গুলো জেনে নিন।