কিডনির সমস্যায় সব ফল খেতে মানা

ডাক্তার বলেছেন, কিডনিতে সামান্য সমস্যা আছে। ক্রিয়েটিনিন নাকি একটু বেশি। আর প্রস্রাবেও আমিষ যাচ্ছে। দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের এমন একটা পর্যায় আসেই। ব্যস, অমনি নানান খাবার-দাবারে নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়ে গেল। ডাল ও মাংস নিষেধ, এমনকি খেতে মানা সব ধরনের ফলমূলও। পানিও মেপে খেতে হবে। কিন্তু আসলেই কি তাই?

কিডনির সমস্যায় সব ফল খেতে মানা
Refuse to eat all fruits for kidney problems

* ক্রনিক কিডনি ডিজিজ বা দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ ঠেকাতে প্রথমত চাই রক্তে শর্করা ও রক্তচাপের সুনিয়ন্ত্রণ। এটা না করতে পারলে কেবল খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনে কিডনি ভালো রাখা যাবে না।

* যেসব কিডনি রোগীর শরীরে পানি আসে বা ফুলে যায়, তাদের ক্ষেত্রে দৈনিক পানির পরিমাণ চিকিৎসক মেপে দিতে পারেন। নয়তো পানি নিয়ে ভাবনার কিছু নেই। তবে সেই সঙ্গে কমাতে হবে সোডিয়াম বা রান্নার লবণের পরিমাণও। এটি রক্তচাপ যেমন বাড়ায়, তেমনি পানি জমতেও সাহায্য করে।

* অসুস্থ কিডনি অনেক সময় রক্ত থেকে পটাশিয়াম নিষ্কাশন ঠিকমতো করতে পারে না। এতে রক্তে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যায়। মাঝেমধ্যে রক্তে ইলেকট্রোলাইট পরীক্ষা করা হলে বিষয়টা ধরা পড়ে। যাদের এই প্রবণতা আছে তারা উচ্চ পটাশিয়ামযুক্ত ফলমূল এড়িয়ে চলাই ভালো। বেশি পটাশিয়াম আছে কলা, কমলা, ডাব, তরমুজ, টমেটো, কিশমিশ, অ্যাভোকেডো ইত্যাদি ফলে। তবে পটাশিয়ামের পরিমাণ কম এমন ফল যেমন আপেল, আঙুর, আনারস, স্ট্রবেরি ইত্যাদি খেতে বাধা নেই।

* কিডনি সমস্যায় অনেক সময় ফসফরাস বা ফসফেটের পরিমাণও যায় বেড়ে। ভুট্টার তৈরি খাবার, কোলা-জাতীয় পানীয়, কিছু বাদামে ফসফেটের পরিমাণ বেশি। তবে চিকিৎসক চাইলে ফসফেট বাইন্ডার ওষুধের মাধ্যমে ফসফরাস নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।

* কিডনি রোগীদের ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ‘ডি’র অভাব দেখা দেয়, রক্তস্বল্পতা হয়। তাই ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি ও আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।

আরো পড়ুন:-

Md. Moshiur Rahman Sami

হাই, আমি আমাকে চিনতে পছন্দ করি। আমি উপকারে আসতে পছন্দ করি । আমি নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করি। আমি চাই পরগমনের আগে পৃথিবীকে কিছু দিতে। আমি বিশ্বাস রাখি এটি করতে আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।

3 মন্তব্যসমূহ

মন্তব্য বাক্সে কোনও স্প্যাম লিঙ্ক ভাগ করবেন না

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
নবীনতর পূর্বতন